৭ বছর পর মামলায় খালাস পেলেন সাংবাদিক মাসুদুর রহমান

doinikjamalpurbarta

 জামালপুর প্রতিনিধি : জামালপুরে ৭ বছর পর মিথ্যা মামলায় খালাস পেয়েছেন দৈনিক জনবাণী পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার ও দৈনিক সংবাদ সারাবেলা পত্রিকার জামালপুর প্রতিনিধি মাসুদুর রহমান ।

বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর ) জামালপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১ম আদালতের বিচারক রুমানা আক্তার এ রায় ঘোষণা করেন। এদিন সাংবাদিক মাসুদুর রহমান আদালতে উপস্থিত হন। তার উপস্থিতিতে আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।আদালতে আসামী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন আইনজীবী মোতাকাব্বির হোসেন রুবেল । একই মামলায় অন্যান্য আসামীদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুস সালাম । এ মামলায় ২ জন স্বাক্ষী আদালতে স্বাক্ষী প্রদান করেন।

জানা গেছে, ২০১৮ সালে জেলার স্থানীয় দৈনিক আলোচিত জামালপুরের সরিষাবাড়ির প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত ছিলেন মাসুদুর রহমান। ২০১৮ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর ‘সরিষাবাড়ীতে লক্ষাধিক টাকায় থানা থেকে মুক্তি পেল সড়ক দুর্ঘটনায় আটক চারজন’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদ প্রকাশের দুই দিন পর ২৬ সেপ্টেম্বর এএসআই আনসার ফোনে বাড়ি থেকে বের হয়ে পৌর এলাকার ধানাটা ব্রিজে আসেন মাসুদুর রহমান। এরপর তাকে আটক করে থানায় এনে একটি মাদক মামলা এবং একটি নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা দায়ের করে আদালতে পাঠানো হয়। সেই মামলা মামলা গুলো থেকে আগেই খালাস পেয়েছেন সাংবাদিক মাসুদুর রহমান। ২০১৮ সালের ১৮ অক্টোবর সরিষাবাড়ির বীরধানাটা বি.জে.সি দুর্গা ও কালি মন্দিরে পুলিশ সদস্যের ওপর হামলার ঘটনা সাজিয়ে আবারো মাসুদুর রহমানকে প্রধান আসামী করে রাজনৈতিক নেতাদের ইন্ধনে পুলিশ সদস্যকে দিয়ে বাদী বানিয়ে আবারো মামলা করান তৎকালীন ওসি মাজেদুর রহমান। মামলার দেখানো ঘটনার সময় সাংবাদিক মাসুদুর রহমান নিজ বাড়িতে অবস্থান করলেও তাকে মামলার প্রধান আসামি করা হয়। এরপর ১৮ নভেম্বর মহামান্য হাইকোর্টে তার পক্ষে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী ইসরাফিল হোসাইনের জামিনের আবেদনে বিচারপতি আব্দুল হাফিজ ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীম মাসুদুর রহমানের অ্যান্টিসিপেটরি জামিন চার সপ্তাহের জন্য মঞ্জুর করেন। দীর্ঘ ৭ বছর পর মামলাটি মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় জামালপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের ১ম আদালতের বিচারক রুমানা আক্তার তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেন।

এ বিষয়ে সাংবাদিক মাসুদুর রহমান জানান, সরিষাবাড়ি থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজেদুর রহমানের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করায় আমার বিরুদ্ধে পর পর তিনটি মিথ্যা মামলায় হয়রানি করেছে। ৭ বছর ধরে মিথ্যা মামলায় ঝুলে থাকাটা ছিল খুব হয়রানিমূলক ও কষ্টদায়ক। আদালতে ন্যায় বিচার পেয়েছি। তবে আর কোনো সাংবাদিক যেন এমনভাবে মিথ্যা মামলার শিকার না হয় সেই দাবি জানাই।

এদিকে আইনজীবী আব্দুস সালাম জানান,আমরা ন্যায় বিচার পেয়েছি। মামলার রায়ে সন্তুষ্ট।

SHARES

ফেসবুকে অনুসরণ করুন

আরো পোস্টঃ