বকশীগঞ্জে ভূয়া স্ত্রীর মুক্তিযোদ্ধার ভাতা আত্মসাতের অভিযোগ

doinikjamalpurbarta

বকশীগঞ্জ প্রতিনিধি : জামালপুরের বকশীগঞ্জে ভূয়া স্ত্রী পরিচয়ে এক মুক্তিযোদ্ধার সম্মানী ভাতা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার।বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে মৃত মুক্তিযোদ্ধা মতি রহমানের ছেলে বাবুল মিয়া এ অভিযোগ করেন।

তিনি জানান,আমার পিতা ২০১০ সালে আঙ্গুরী নামে এক নারীকে বিবাহ করেন। পরবর্তীতে ২০১৫ সালে উক্ত নারী আমার পিতাকে তালাক দিয়ে বিদেশ চলে যান। তালাকপ্রাপ্ত হওয়ার পরও বিদেশ থেকে ফিরে এসে নানা কৌশলে আমার পিতার মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী ভাতা ভোগ করে আসছেন। বর্তমানে তিনি ওই ভাতার অর্ধেক অংশ ভোগ করছেন, যা সম্পূর্ণ বেআইনি।”
তিনি আরও বলেন, যেহেতু আঙ্গুরী এখন তালাকপ্রাপ্ত, তাই তার মুক্তিযোদ্ধার ভাতা ভোগের কোনো অধিকার নেই। পুনরায় বিয়ের কাগজ জাল করে তিনি রেশন ও ভাতা নিচ্ছেন। আমরা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করছি, যেন আমার পিতার সম্মানী ভাতা পরিবারের প্রকৃত সদস্যদের মাঝে সুষমভাবে বণ্টন করা হয়।এ বিষয়ে অভিযুক্ত আঙ্গুরী বেগমের দাবি, তালাক হওয়ার পর মৃত মুক্তিযোদ্ধা মতি রহমান পুনরায় রেজিস্ট্রি কাবিনের মাধ্যমে আমার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন এবং আমিই তার সঙ্গে ছিলাম।বকশীগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা নওশেদ আলী বলেন, “আমাদের কাগজপত্র ও তথ্যপ্রমাণ অনুযায়ী দেখা গেছে, আঙ্গুরী বেগমকে তালাক দেওয়ার পর মতি রহমান পুনরায় তাকে বিয়ে করেছিলেন।

SHARES

ফেসবুকে অনুসরণ করুন

আরো পোস্টঃ