জামালপুরে জোরপুর্বক পাকা স্থাপনা উচ্ছেদ – ও এতিমদেরকে অত্যাচারের অভিযোগ

doinikjamalpurbarta

জামালপুর প্রতিনিধি : জামালপুরে জোরপুর্বক পাকা স্থাপনা উচ্ছেদ ও বিধবা-এতিমদেরকে অত্যাচারের অভিযোগ ওঠেছে। মাকসুদা আক্তার, মুসরিফুর ইসলাম রানা ও মোসাদ্দেক আলী মহনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ।

জানাগেছে,জামালপুর পৌর শহরের ফুলবাড়িয়া মুন্সিপাড়া রোডের আফরোজা তালুকদার লুবন তার স্বামী এসএম মাহফুজুর রহমান রঞ্জু মৃত্যুবরণ করেন বিগত ১ বছর আগে।

রেখে যান দুই সন্তান ও স্ত্রীকে।কিন্তু মৃত রঞ্জুর বড় বোন মাকসুদা আক্তার, তার ছেলে মুসরিফুর ইসলাম রানা ও মোসাদ্দেক আলী মহনরা লুবনের পৌনে এক শতাংশ জায়গা জোরপুর্বক দখল নেয়ার চেষ্টা চালায় এবং নানাভাবে হয়রানি করে আসছেন।বিবাদমান ওই জায়গাতে ছিল লুবনদের পাকা স্থাপনা।

রোববার রাতে ওয়াল ছিদ্ধ করে রুমে ভিতর পানি ঢুকিয়ে দেয় মুসরিফুর ইসলাম রানা ও মোসাদ্দেক আলী মহন নেতৃত্বদল।

গুরুত্বর অভিযোগ জামালপুর পৌরশহরের ফুলবাড়িয়া মুন্সিপাড়া এলাকার মুসরিফুর ইসলাম রানা(৪৩)এর বিরুদ্ধে।

ঘটনায় জামালপুর সদর থানাসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে অভিযোগ দিয়েছে বিধবা আফরোজা তালুকদার লুবন।

অভিযোগ সুত্র জানায়,আফরোজা তালুকদার তার স্বামী মাহফুজুর রহমান রঞ্জু বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া দুই সন্তান রেখে গত ২০২৪ সালে মারা যান।

তিনি মাহফুজুর রহমান রঞ্জু একজন ব্যাবসায়ী ছিলেন।
পরে আফরোজা তালুকদার লুবন তার স্বামী’র পৈত্রিক সুত্রে পাওয়া বাসা বাড়িতে দুই সন্তান নিয়ে বসবাস করতে ছিলেন।

কিন্তু সেই বাসা বাড়িতে মুসরিফুর ইসলাম রানা ও মোসাদ্দেক আলী মহনের নেতৃত্বদল নিয়ে এর আগে দোকান,গোডাউন ভাংচুর ও লুটপাট,রুমের ভিতর পানি ঢুকিয়ে অত্যাচার করে আসছে।

এতেও ক্ষান্ত না হয়ে নেতৃত্বদলটি আফরোজা তালুকদার পরিবারকে তার স্বামীর বসত ভিটে থেকে উচ্ছেদের অসৎ উদ্দেশ্যে সাত বার পানি-গ্যাসের লাইন বন্ধ করে দেয়,জোর করে তাদের জায়গা পেঁচে সীমানা প্রাচীর নির্মান করাসহ প্রাণনাশের হুমকী দিয়ে যাচ্ছেন।

বিধবা আফরোজা তালুকদার লুবন আরও বলেন,তার শশুর এসএম ইউসুফ আলী ২০২১৬সালে মারা যাওয়ার পর থেকেই সম্পত্তি ঘ্রাসের উদ্দেশ্যে এই অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে মুসরিফুর ইসলাম রানা, মাকসুদা আক্তার ও মোসাদ্দেক আলী মহন।

এদের কারণে দোকান ভাড়াটিয়া থাকতে পারেনা, আফরোজ তালুদার পরিবার লুবন বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছে, তিনি প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছেন।

এ ব্যাপারে মুসরিফুর ইসলামের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন,আফরো তালুকদার লুবন আমার মামী হন,কিন্তু তার মধ্যে জমি পাই, তাই এসব সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।

জামালপুর সদর থানার ওসি আবু ফয়সল মো.আতিক বলেন,এ ব্যাপারে একাধিক অভিযোগ পেয়েছি এবং পুলিশও পাঠিয়েছি, বিষয়টি নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

SHARES

ফেসবুকে অনুসরণ করুন

আরো পোস্টঃ